নিজ খবরিয়া:ছয় মাইলের মানষি লক্ষ্মণ শীলশর্মা। দেওবার হুড়কাত ওমার বাড়ির দুইটা ঘর ভাঙ্গি গেইছে। শুকুরবার রাতিত ওমার অ্যাকাউন্টত ঢুকিছে ২০ হাজার টাকা। হুড়কাত ক্ষতির তানে ক্ষতিপূরণ। এলা এইলা টাকা দিয়া লক্ষ্মণ কোন ঘরটা বানাবে ওইটায় বুঝিবার পারেছে না।
ওমার কাথা ‘মাত্র ২০ হাজার টাকাত কী হবে? ভাবিছুনু আরো বেশি টাকা পাম। সেইটা কামত লাগাম। হামালার নাখান গরিব মানষিলা বড় সমস্যাত আছে।’ লক্ষ্মণ জানাইল ওমা , কিছু টাকা জমাইছেন বেটার অন্নপ্রাশনের তানে। আইসা দিনলাত অনুষ্ঠানখান হবার কাথা আছিল। ওইটা আর করিবেন না। বেটার অন্নপ্রাশনের তানে জমা টাকা দিয়া বাড়িঘর ঠিক করিবেন।
একে অবস্থা দক্ষিণ কামসিংয়ের মানষি সুবিন রায়ের। ওমার বাড়ির তিনটা ঘর ভাঙ্গি গেইছিল ওই দিনের হুড়কাত। ওমার অ্যাকাউন্টত ক্ষতিপূরণের টাকা আসিছে। এইটা টাকা পায়া হুড়কাত ক্ষতিগ্রস্তলার মধ্যত যেনং ক্ষোভ আছে, আর কাহ কাহ হাসেছেন। দুঃখের হাসি। আর হুড়কাত বিপর্যস্ত এলাকার একটা মানষি সুমন রায় কন, ‘ওই টাকা দিয়া খুব বেশি লাভ হবে না। কিন্তু বিপদের সময় ওইটা টাকায় বা কায় দেয়?’
বিতা দেওবার বেলাভাটি কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ত দুমড়িয়া-মুচড়িয়া গেইছিল আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ওই দুইটা গ্রামের সাথত নানান নাখান এলাকা। ছুটিয়া আসিছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর অইন্য দেওবার আসিতে না আসিতেই ঝড়কবলিত এলাকা ক্ষতত কিছুটা প্রলেপ পড়িল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছয়দিনের মধ্যত ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করিল রাইজ্য সরকার। হুড়কার পরের দিন থাকিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তলার থাকি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিবার কাম শুরু করি দিছিল গ্রাম পঞ্চাইত আর ব্লক প্রশাসনের কর্তালা। শুকুরবার রাতি থাকি ক্ষতিগ্রস্তলার অ্যাকাউন্টত সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকিবার শুরু হইছে।
এইটা বিষয়ত আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিডিও জয়ন্ত রায় জানাইল ‘ক্ষতিপূরণের বিষয়টা জেলা থাকি দেখা হচ্ছে। হামরা তালিকা করিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠায় দিছি।’ আর টাকা কি ঢুকিবে? এইটা প্রশ্নের উত্তরত ওমা জানাইল , ‘এটা এককালীন ক্ষতিপূরণ।’
ব্লক প্রশাসনের থাকি খবর, ব্লকত প্রায় ১০০টা বাড়ি হুড়কাত পুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর প্রায় ৩০০টা বাড়ির অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হইছিল। শুকুরবার রাতি থাকি ক্ষতিপূরণ ঢুকিবা শুরু করিছে। শনিবার ব্লক প্রশাসনের কর্তালা এলাকাত যায়া ক্ষতিপূরণ ঢুকিবার বিষয়টা নিয়া খোঁজখবর নেন। যাঁর বেশি ক্ষতি হইছে, আগত ওমা ক্ষতিপূরণ পাছেন।
অল্প ক্ষতিগ্রস্তলার ক্ষতিপূরণ ঢুকিবার শুরু করিবে বুলি জানা গেইছে।
ক্ষতিপূরণ ঢুকতে শুরু করিলেও এলাকাত হুড়কার প্রভাবের ছবিটা এলাও বদলায় নাই। এদিনা যেনং নানান নাখান এলাকাত ঘুরিয়া দেখা গেইল, এলাও মেলা বাড়ি ভাঙাচোরা অবস্থাত পড়ি আছে। হুড়কাত ক্ষতিগ্রস্ত পবন রায়ের মতো মেলা মানষি জানাইছে, ক্ষতিপূরণ ঢুকিবা শুরু করিলেও যেইলা ক্ষতি হইছে সেটার ক্ষত সহজত মিটিবে না।