মালবাজার, শৈলেন রায়:
সাকাল থাকিয়ায় পাহাড় মাতি আছিল রৌদ আর মেঘের খেলাত। ভয়ে ভয়ে আছিল কোন ভালাবা জল আইসে। সেই জল পড়িবার ভয়ক আওতে থুইয়া সইঞ্জার সমায় চান্দের আলোত ভৈ ভৈয়া হয়া উঠে পাহাড়। পাহাড়ের ঢালের সবুজ চা বাগান স্যালা অইন্য এক জগত। মাল শহর লাগোয়া কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের টুংলাবুঙ বাগানত হইলেক ফুল মুন প্লাকিং। চা বিশেষজ্ঞেরঘর কন পত্থম ফ্লাশের চা পাতা তোলার সমায় পূণ্ণিমার রাইতত তোলা চা পাতা থাকি তৈয়ার করা চায়ের স্বোয়াদ এক্কেবারে আলদা । চান্দের আলোত ভৈ ভৈয়া পাহাড়ত এই বিশেষ কর্মকান্ড নিজের চৌখে দেখিবার বাদে দেশ-বিদেশের পর্যটক থাকি শুরু করিয়া সামিল আছিল নানান মহল। চা বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বছরের এই সমায় সাধারণত চা বাগান গুলাত পত্থম ফ্লাশের চা পাতা তোলা হয়। দোল পূণ্ণিমার রাইতত কিছু বিশেষ এলাকাত চা পাতা তুলিয়া প্রক্রিয়াকরনের নিদর্শন আছে । দার্জিলিং এর বিখ্যাত মকাইবাড়ি চা বাগানের এই নাখান চা জাগা করি নিছিল ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসত। গরুবাথানের টুংলাবুঙের আদর্শ নমুনা পাহাড়ের ঢালত ছড়িছিটিয়া আছে। মশাল জ্বালেয়া গান গায়া চা শ্রমিকেরঘর চা পাতা তুললেক। মানী পর্যটন উদ্যোগী রাজ বসু ফুল মুন প্লাকিংত উপস্থিত আছিলেন।উমার সথে কাথা কবার সমায় রাজবাবু কইলেক ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল থাকিয়াও পর্যটকেরঘর এই প্লাকিং দেখিবার তানে আসিছে।পূর্ণিমার আলোয় উদ্ভাসিত চা বাগানের মশাল জ্বালিয়ে চা পাতা তোলা হয়। এই ধরনের পাতার থেকে তৈরি চায়ের স্বাদ অনন্য। পর্যটকেরাও অনন্য দৃশ্য উপভোগ করেছেন। ফুল মুন প্লাকিং এ চায়ের চাষে সকলের উৎসাহবাড়বে। চা পর্যটনও বিকাশ লাভ করবে বলেই মত অনেকের। সুসংহত সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। বাগানের মালিক খরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, আমরা সাধারণত জৈবিক পদ্ধতিতে এখানে চা চাষ করি। আমাদের এভাবেই নিত্য নতুন চা সকলকে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যটকেরাও অভিভূত। ভুটান থেকে আসা সাঙ্গে ভুটিয়া কিংবা বাংলাদেশের আনিসুরুদ্দিন পাঠানদের বক্তব্যও প্রায় এক। তাদের কথায় আমরা বরাবরই ভারত সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে ভালোবাসি। এভাবেও যে চা পাতা তোলা যায় তা এই প্রথম দেখলাম। দারুন অনুভূতি হল। ফুল মুন প্লাকিংকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও অনুষ্ঠিত হয়েছে।