দিব্যেন্দু সিনহা,৩০ মার্চ, জলপাইগুড়ি:বনবস্তি ও বনাঞ্চল সংলগ্ন অঞ্চলে নিরাপদে ভোট করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে যে সমস্ত এলাকায় প্রায় নিত্য দিন বন্যপ্রাণীর হানাদারি চলে, সেই সমস্ত এলাকাতে সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করছে জলপাইগুড়ি প্রশাসন।
জানা গেছে বনাঞ্চলের ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, একই ভাবে ভোটকর্মীরাও যাতে নিরাপদে গোটা ভোট পর্ব সম্পন্ন করতে পারেন, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সশস্ত্র বনকর্মী মোতায়েন রাখা বা ভোট কর্মীদের গাড়ি এসকর্ট করার মতো পদক্ষেপের জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি লোকসভার অধীনে গোরুমারা জাতীয় উদ্যান সহ চাপড়ামারি, ন্যাওড়াভ্যালি, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল ঘেঁষা অনেক এলাকায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও মহানন্দা স্যাংচুরির ভিতরে লালটং বস্তি সহ একাধিক বন বস্তি এলাকাতেও অহরহ বন্যপ্রাণীর আনাগোনা লেগে থাকে। সেই সব জায়গার সংশ্লিষ্ট বুথের নিরাপত্তা ও ভোটারদের নিরাপদে যাতায়াতের পথ রয়েছে। যেগুলো বন্যপ্রাণীর হানাদারির দিক থেকে স্পর্শকাতর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েক দফায় প্রশাসন বন দপ্তরের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক সেরেছে। ভোটের সময় বন্যপ্রাণীর হানাদারির দিক থেকে স্পর্শকাতর এমন ভোট কেন্দ্র চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে, যাতে প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা রাখা যায়। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পরভীন বলেন, বনবস্তি ও বনাঞ্চল সংলগ্ন অঞ্চলে নিরাপদে ভোট করতে ইতিমধ্যে আমরা বন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে যথাযথ পদক্ষেপের ব্যাপারে বলা হয়েছে। আবার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বন দিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ শর্টকার্ট পথগুলো বন্ধ করা হয়েছিলো। ভোটের সময় ওই একই পদক্ষেপ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার সমন্বয় রাখা হচ্ছে। যাতে ভোটের সময় বনবস্তি ও বনাঞ্চল সংলগ্ন অঞ্চলে নিরাপদে ভোট সম্পন্ন করা যায়। বন্যপ্রাণীর হানাদারীর দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকায় সশস্ত্র বন কর্মীদের মোতায়েন করা হবে। সে জন্য আমাদের বিভাগীয় কাজ শুরু হয়েছে।