নিজ খবরিয়া: দলটা করিছেন এক্কেবারে শুরু থাকিয়ায়। সেলা বয়সটাও আছিলো অনেক কম। তার বাদে দলের তানে দৌড়ায় বেড়াইছেন নানান নাখান জাগাত। কিন্তুখ এলা আর শরীর বয়সের ভার নিবার পারে না। তাহ দলের নেত্রীক একনা খালি চোখুর দেখা দেখিবার হবে। তারবাদে বেটাক সাথত নিয়া ২০ কিলোমিটার রাস্তা ঠেলিয়া সোজা জলপাইগুড়ি শহরের কলেজ পাড়াত এবিপিসি মাঠত মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভাত উপস্থিত ১০১ বছরের বুড়া দেবেন্দ্র নাথ রায়। নাঠিত ভর করিয়া ভির ঠেলিয়া সভাজাগাত ঢুকার সময় তৃনমূল কর্মীগিলার চোখু কপালত ওঠিবার জোগার। কয় জন নেতা স্থানীয় কর্মী আগেয়া আসিয়া ওমাক সামনার সারিত বসিবার জাগা করি দিবার নির্দেশ দিয়া যান ।
সংবাদ মাধ্যমত কাথা কবা যায়া বুড়া মানষি দেবেন্দ্র নাথ রায় জানাইল ১৯২৩ সালত ওমার জন্ম। ১৯৬৫ সালত পূর্ববঙ্গ থাকিয়া চলি আইসেন এঠেনা। তার পর থাকি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারি নন্দন পুরত স্থায়ী ভাবে থাকিবার শুরু করেন। পেশাত কৃষক হইলেও রাজনীতির সাথত একটা সক্ষ্যতা ছিলো আগাগোড়া থাকি। একটা সময় বহুজন সমাজ পার্টির সদস্য আছিলেন। খালি ওইটায় নোয়ায় ওইটা পার্টি প্রার্থী হয়া পঞ্চাইত নির্বাচনত লড়াইও করিছেন। বুড়া মানষিটা জানাইল আশি – নব্বই এর দশকত, সাধারন মানষির একাংশের প্রতি বাম পন্থীলার বৈসম্য মূলক আচরন লক্ষ করা গেইছে। যার বিরুদ্ধত লড়াইয়ের প্রয়োজন আছিলো। যেইটার কারনে ১৯৯৮ সালে তৃনমূল গঠনের পরে ওমা দলত যোগ দেন। তার পর থাকি এলাও তৃনমূলতে আছেন। ওইটার কারন হইলেক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ আর নীতি। রাইজ্যত কংগ্রেস আর বামেদের সরকার আছিলো, অনেক উঠা নামা দেখিছেন। কিন্তুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাখান নেত্রী আগত আসে নাই বুলি দাবি করেন একশো বছর পার করা বুড়া মানষিটা।
এদিনা মমতার সভাত দেবেন্দ্র নাথ বাবুক নিয়া আইসেন ওমার বেটা ডালিম রায়। ওমা জানাইল আগত বয়স কম ছিলো। দলের তানে খাটিছেন। কিন্তুক এলা আর পারেন না। স্থানীয় ভাবে দলের কোন কর্মসুচি হইলে মাঝে মধ্যত ওঠে যান। মমতা নির্বাচনী প্রচারত আসিবেন এইটা কাথা শুনার পর থাকি দলের নেত্রীক দেখিবেন, আর ভাষন শুনবেন বলি এক প্রকার জেদ ধরেন। তার বাদে ওমাক নিয়া আসিবার হইল ওমাক । দলের কামত নানান নাখান সভাত গেইছেন। কিন্তু দলের নেত্রীক সামনাসামনি কোন সভাত দেখা পান নাই। ওইটা আজি বাবার পূরণ হইল বলি মনে করেছেন ডালিম রায়।