নয়া ৩ আইনত পুলিশ রাজ, চিঠি দিল শাহক

নিউজ ডেস্ক, ১ এপ্রিল: নয়া ৩ আইনত পুলিশ রাজ, চিঠি শাহক ।বার কাউন্সিল সদস্যলার বক্তব্য, নয়া আইনত পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ ১৫ দিন থাকি বাড়েয়া ৯০ বা ৬০ দিন করা হইছে। তার বাদে হেফাজতত অইত্যাচার আরও হেনস্থা করার জইন্যে ৪ বা ৬ গুণ বেশি সময় পাবে পুলিশ।

নয়া তিন ফৌজদারি আইন কার্যকর না করিয়া ওইলা ফির খতিয়া দেখিবার বাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহক চিঠি নেখিল আইনজীবীরঘরের সংগঠন দিল্লি বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও দুই সদস্য। এই তিন আইনের নানান নাখান দিক সম্পর্কত গুরুতর প্রশ্ন আছে বুলিয়া বার কাউন্সিল সদস্যলার তরফ থাকি চিঠিত জানানো হইছে। চিঠির প্রতিলিপি প্যাঠাইচে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ক। চিঠিত সইকরা আইনজীবীলার মতে, এই তিন আইনত পুলিশের রাজ চালু হবে দেশত।

১ জুলাই থাকিয়া দেশত কার্যকর হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় দণ্ড সংহিতা আর ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম।
ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে ওই তিনটা আইন চালু হবে।

দিল্লি বার কাউন্সিলের সদস্যলার তরফ থাকি জানাইচে, মেলাদিন ধরিয়া পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজন আছিল। স্বচ্ছ ও উপযুক্ত তদন্তের উপরত বারবার জোর দিসে সুপ্রিম কোর্ট। এইটা বিষয়ত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাত বিস্তারিত সুপারিশ করিছিল মলিনাথ কমিটি। বার কাউন্সিল সদস্যলার মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকার এইলা সুপারিশের বিষয় গিলা মাথাত রাখিয়া বৃহত্তর জনস্বার্থত আইন সংশোধন করিবে বুলিয়া আশা করিছিলেন আইনজীবীলা। কিন্তুক উল্টা নয়া আইনগিলা দমনমূলক।

বার কাউন্সিল সদস্যলার বক্তব্য, নয়া আইনত পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ ১৫ দিন থাকি বাড়েয়া ৯০ বা ৬০ দিন করা হইছে। তার বাদে হেফাজত অত্যাচার ও হেনস্থা করার জইন্যে ৪ বা ৬ গুণ বেশি সময় পাবে পুলিশ। বগলাবগলি হেফাজতের মেয়াদ বাড়াইলে সেলা ধরা পরা মানষিলা জামিনও পাবে নাই । বদলাবে পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গি। হেফাজতত অইত্যাচার আর হেনস্থা বন্ধ করার বাদে আদালতত তৈরি ব্যবস্থা কাম করিবে না।

আইনজীবীলা দ্বিতীয় প্রশ্ন তুলিছেন হাতকড়ার ব্যবহার নিয়া। ওমার বক্তব্য, নয়া আইন কয়েকটা মামলার ক্ষেত্রত ধরাপরা মানষিলাক হাতকড়া পরেবার অনুমতি দেওয়া হইছে। কিন্তুক কিছু মামলাত হাতকড়া পড়েবারটাক অমানবিক ও সংবিধান-বিরোধী অ্যাখ্যা দিসে আদালত। সাথত উমার বক্তব্য, পুরানা আইনত একা বন্দি রাখার ব্যবস্থাক বর্বর’ ও ‘অসভ্য’ অ্যাখ্যা দিসিলো সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তুক নয়া আইনত সেইটা ব্যবস্থা রাখা হইছে। যেইলা সংবিধান-বিরোধী।

কিচ্ছু লঘু অপরাধের ক্ষেত্রত শাস্তি হিসাবে সামাজিক কামের (কমিউনিটি সার্ভিস) বিধান আছে নয়া আইনত। কিন্তুক বার কাউন্সিল সদস্যলার বক্তব্য, সামাজিক কামের সংজ্ঞা নয়া আইনত নির্ধারণ করা হয়নাই। তারবাদে কাহকো যদি রাস্তা বা প্রকাশ্য শৌচাগার পরিষ্কার করিবার কাথা কয়া যায় তাহলে ওইটা মানবিক মর্যাদার বিরোধী।

সংগঠিত অপরাধ বন্ধ করার বাদে নয়া আইনত একটা ধারা রাখা হইচে। কিন্তুক বার কাউন্সিল অব দিল্লির সদস্যলার বক্তব্য, এমুন ধরনের অপরাধের মোকাবিলার তানে বিশেষ আইন আছে। তার বাদে এইটা ধারার প্রয়োজন নাই। আরো গণপিটুনিত খুন বন্ধ করার বাদে নয়া আইনত আছে আলাদা ধারা। চিঠিত আইনজীবীলার প্রশ্ন, হত্যার ক্ষেত্রত আলাদা ধারার প্রয়োজন কি? বগলাবগলি নয়া আইনত অইন্য একটা ধারায় পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি মানষির জমায়েতটাক বেআইনি তকমা দেওয়া হইছে। সেইলা ধারাত পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি মানষির দ্বারা খুনের ক্ষেত্রত আলাদা শাস্তির ব্যবস্থা আছে। বার কাউন্সিল সদস্যদলার আশঙ্কা, এইলা ধারা ব্যবহার করিয়া শান্তিপূর্ণ সভা-মিছিল বন্ধ করিয়া দিবার পারে প্রশাসন।

জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করার তানে তৈরি আইন টাডা ও পোটা বাতিল করিবার হইছিল। কিন্তুক বার কাউন্সিল সদস্যলার মতে, নয়া আইনত ফের সেইলা আইনত থাকা ক্ষমতা দেওয়া হইছে পুলিশক।

বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালেয়া দুর্ঘটনাত মৃত্যুর ক্ষেত্রত ট্রাকড্রাইভার আর মালিকলার বিক্ষোভের তানে কিছু আশ্বাস দিসে কেন্দ্র। বার কাউন্সিল সদস্যগিলাও জানাইসে , নয়া আইনত বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালেবার তানে দুর্ঘটনাত মৃত্যুর ক্ষেত্রত ২ বছরের কারাদণ্ড শাস্তি থাকিয়া বাড়েয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড করাটা বাড়াবাড়ি। আরো ড্রাইভার পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটক না জানেয়া পালাইলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধানও অযৌক্তিক।

বার কাউন্সিল সদস্যলার আরও বক্তব্য, আগের আইনত থাকা রাষ্ট্রদ্রোহের ধারাত নয়া আইনত আরও পরিবর্ধিত করা হইছে। সাথত নয়া আইনত ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ আটকেবার তানে থাকা ধারার প্রবল অপব্যবহারের সম্ভাবনা আছে বুলিয়া মত উমার।

মৃত্যুদণ্ড আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবার পারে এমন ধারাত সংখ্যা বাড়াবে, ফৌজদারি মামলায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাইধ্যমত বিচার ও প্রমাণ পেশের ক্ষেত্রত নয়া আইনের বিধান নিয়া প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীলা।

ওমালার বক্তব্য, ‘‘আইনের শাসনের মূল কথা হইল স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমত বিচার। হেনস্থা নাহায়। কিন্তু সংশোধিত আইনত সেইলা বিচারের ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি। কোন সভ্য দেশত পুলিশক এত ক্ষমতা দেওয়া যায় না।’’

Spread the love