ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দফায় দফায় পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন জেলা শাসক

নিজ খবরিয়া, জলপাইগুড়ি, ১ এপ্রিল: দফায় দফায় পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন জেলা শাসক সামা পারভিন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান থেকে শুরু করে খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা কি ভাবে করতে হবে সেই বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। আর সেই অনুসারে কাজ করে যাচ্ছেন ময়নাগুড়ি বিডিও প্রসেঞ্জিত কুন্ডু।

জানাগেছে মূলত ব্লকের বার্নিস গ্রামপঞ্চায়েত কালিবাড়ি এলাকা ছাড়াও ধর্মপুর এবং মাধবডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সব থেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ব্লক প্রশাসনের হিসেব অনুসারে সম্পুর্ন এবং আংশিক মিলিয়ে ৫০০ বেশী বাড়ির ক্ষতির হয়েছে।

ক্ষতি গ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের বেশী। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে এনডি আরএফ সহ জেলার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের একাধিক টিম কে। খাবার, পানীয় জল থেকে শুরু চিকিৎসার জন্য দুটি রিলিফ ক্যাম্পে স্বাস্থ্য কর্মী এবং চিকিৎসকদের রাখা হয়েছে বলে ব্লক সুত্রের খবর। জানা গেছে বার্নিস উচ্চ বিদ্যালয়, এবং পুঁটিমারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান রিলিফ করা হলেও এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আরো ১১ টি জায়গাতে কিচেন তৈরি করা হয়েছে। ওই ক্যাম্প গুলি থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বন্টন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার এবং শিশুদের জন্য খাবার দেওয়া হচ্ছে। গত রাতের পর এদিন ডাল,ভাত সবজি বন্টন করা হয়েছে বলে ব্লকের বক্তব্য।

এদিকে ওই গ্রামপঞ্চায়েত প্রায় ১১ টি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামে পানীয় জলের সঙ্কোট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন রায়ের বক্তব্য ঝড়ের কারনে কুয়োর জল পানের অযোগ্য হয়ে পরেছে। তাই আবার বিদ্যুৎ না থাকার জন্য টাইম কলেও জল আসছে না। যে কারনে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি ব্লক বিডিও প্রসেঞ্জিত কুন্ডু বলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ করেকটি সেচ্ছাসেবী সংস্থাও খাবার পানীয় জল সরবরাহ করছে।

অন্যদিকে ক্ষতি গ্রস্থ প্রায় ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করার জন্য গত রাত থেকেই কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগের ৯ থেকে ১০ টিম। আশাকরা যাচ্ছে কিছু অংশে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন এলাকা গুলিতে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে শিশুদের নিয়ে মহিলারা রাতে রিলিফ ক্যাম্প গুলিতে থাকেন। এদিকে এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক নীলমণি লাহীড়ি জানিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার পানীয় জল বন্টন করা হয়েছে। তারা ব্লক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছে। আগামীতে প্রয়োজন হলে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। অন্যদিকে সিভিল ডিফেন্স এবং এনডি আরএফ এর পক্ষ থেকে আজ সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে।

Spread the love