নিজ খবরিয়া, ৩ এপ্রিল : মেলা রাজনৈতিক দলের জয়ের নেপথ্য কাণ্ডারী কওয়া হয় উমাক। উমার কৌশল মাফিক পা ফেলেয়া কাঙ্খিত জয়ের পাঙ্খাত ঠ্যাং বাড়াইছেন মেলা নেতা-নেত্রীলা । উমরা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। রাজনীতিত উমার মতামত তারবাদে ভালে গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল জিতিবে, কোন দলের ভোট বাড়িবে এইলার ভবিষ্যদ্বাণীত পিকের সিদ্ধহস্ত। আইসা লোকসভা নির্বাচনত বাংলাত কেমুন ফল করিবে তৃণমূল-বিজেপি? কী মত প্রশান্ত কিশোরের?
এক সময় আছিলেন রাষ্ট্রসংঘের চাকুরীত। সেইঠে থাকিয়া প্রশান্ত কিশোরের বর্তমান পরিচয় পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট বা রাজনৈতিক কৌশল রচয়িতা অর্থাৎ ভোটকুশলী। একটার পর একটা নেতার হাত ধরিছেন। উমার জয়ের নেপথ্যৎ কাণ্ডারী হিসাবে কাম করিছেন। উমার পরামর্শ মতো চলিয়া আসিছে কাঙ্খিত সাফল্য।
এককথাত ,রাজনীতির ‘মেঘনাদ’ পিকের হাত ধরিয়া সাফল্য ছুঁয়া দেখেছেন মেলা তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
মোদী থাকিয়া মমতা, নীতীশ থাকিয়া জগনমোহন যেলা যাঁর হাত ধরিছেন প্রশান্ত কিশোর, সেলায় ওমাক কাঙ্খিত লক্ষ্যত পৌঁছায় দিছেন ওমা। এক দশকের কেরিয়ারত ধাক্কা খাইছেন মাত্র একবার। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসাবে উমরা যোগ দিছিল। সেলা কংগ্রেস পায় মাত্র সাতটা আসন। তাতে অবশ্য দমি যান নাই পিকে। তারপরও মেলা নেতা-নেত্রীলাক কুর্সিত বসাইছেন পিকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রত রাজনীতির ‘মেঘনাদ’ আছিলেন প্রশান্ত কিশোর। প্রতিপক্ষের সাথত আড়ালত থাকিয়া যুদ্ধ করিছেন। ২০১৮ সালত পিকে যোগ সক্রিয় রাজনীতিত যোগ দেন। JDU-ত যোগ দেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও পরে নীতীশের সাথত সম্পর্ক তলানিত ঠেকে। পরে রাজনীতি ছাড়েন পিকে। বর্তমানত ওমাক বিহার জুড়িয়া ‘জন সূরজ যাত্রা’ করিছেন। সব মিলিয়া প্রশান্ত কিশোর কাথা আলাদায় গুরুত্ব আছে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসক দেওয়া এক সাক্ষাৎকারত পিকে দাবি কড়িছেন ‘রাইজ্যত ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের চায়া বিজেপি পশ্চিমবঙ্গত ভাল পারফরম্যান্স করিবে।’ প্রশান্ত কিশোরের দাবি, ‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গত বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হবে। বিজেপির ফল হবে অবাক করার মতো।’ ফেব্রুরায়ির চতুর্থ সপ্তাহত প্রশান্ত কিশোর একটা সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমক দেওয়া সাক্ষাৎকারত কইছিলেন, ‘বিজেপি বঙ্গত বড় রাজনৈতিক শক্তি। এইবার নির্বাচনত ২০১৯ সালত জয়ী আসন সংখ্যার নীচত যাবে না ওমা।’
প্রশান্ত কিশোরের মতে, বাংলাত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে ভালো ফল করিবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালত পশ্চিমবঙ্গত ৪২টি আসনের মইধ্যত তৃণমূল জিতিছিল ২২টা আসন, বিজেপি পাইছিল ১৮টা আসন কংগ্রেস দুইটা আসন পাইছিল। ওমার মতে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের চায়া ভাল ফল করিবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালত পশ্চিমবঙ্গত ৪২টা আসনের মধ্যত তৃণমূল জিতিছিল ২২টা আসন, বিজেপি পাইছিল ১৮টা আসন কংগ্রেস দুইটা আসন পাইছিল। সাম্প্রতিক সময়ত প্রশান্ত কিশোর শুধু বাংলা নিয়ায় নাহয়, সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রত বিজেপির দুর্বলতা নিয়া নিজের মত প্রকাশ করিছেন। ওমা কইছেন, ‘বিজেপির সব থাকিয়া বড় দুর্বলতা হইল প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর নির্ভরতা। মোদীর পরে বিজেপির মুখ কায় হবেন সেইটা কাহয় না জানেন । তবে পিকে নিশ্চিত, মোদীর পরে যায় বিজেপির নেতা হবে, উমায় মোদীর থাকিয়া বেশি ডানপন্থী হবেন।’