নিউজ ডেস্ক : চলতি মরসুমত পত্থম বার ব্যাট করিবার নামিলেক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিশাখাপত্তনমের দর্শকলাক মাতেয়া চাইর আর ছয় মারিলেক। কিন্তুক দলটাক জিতায় দিবার পারিলেক নাই।
দিল্লি-চেন্নাই ম্যাচের আগত প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকত হাসি ভবিষ্যদ্বাণী করিছিলেন, শেষ বলত ছয় মেরিয়া ম্যাচ জিতাবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। হাসির একটা ইচ্ছা পূরণ হইল ঠিকে, কিন্তুক আসা খান আসায় থাকি গেইল। দেওবার বিশাখাপত্তনমত ধোনির ব্যাট থাকিয়া শেষ বলত বিরাইল একটা ছক্কা। গ্যালারির মাঝত যায়া পড়িল বল। কিন্তুক ম্যাচের ফলাফল বদলাইল না। কেনেনা, শেষ বলের আগতে চেন্নাইয়ের ভাইগ্য নির্ধারণ হয়া গেইছিল।
আইপিএলত পত্থম বার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেবার নামিছিল চেন্নাই। খেলা শুরুর আগত বিশাখাপত্তনমের মাঠ দেখিয়া মনে হয়নাই উমা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেবার নামিচে । চিপকের সাথত গুলিয়া যাবার বাইধ্য, এইটাতে ভিড় হলুদ জার্সির। সগায় আছিলেন একজনকাকে দেখিবার তানে । উমায় চেন্নাইয়ের সাত নম্বর জার্সিধারী। অপেক্ষাত আছিল ৩০৭ দিন পাছত আরও ব্যাট করিবার তানে নামিবেন কি না। সেই আশাটা পূরণ হবার সমায়
আসিল চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের ১৭নম্বর ওভারত। ততক্ষণে ছয় উইকেট হারায় ধুকিবার শুরু করিছে চেন্নাই। হারের খাঁড়া ঝুলিবার শুরু করিচে সামনাত। ২ রানত ৩ উইকেট নিয়া দাপট দেখাছে বাংলার মুকেশ কুমার। উমায় আসিয়ায়, ক্রিজ়ত স্টান্স নিলেক আর পত্থম বলটাতে কব্জির হালকা মোচড়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়্যার লেগ বাউন্ডারিত পাঠায় দিলেক। বিশাখাপত্তনম সেলা উত্তাল। গ্যালারিতে শুরু য়া গেইছে নাচ।
পরের বলত স্তব্ধ হয়া যাবার পারিল হয় সব কিছু। মুকেশের ওয়াইড ইয়র্কারে ধোনির মারা শট উড়িয়া গেইছিল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টত। লোপ্পা ক্যাচ ফেলায় দিলেক খলিল আহমেদ। গ্যালারির ধিক্কার নাহয়, আশুর্বাদে পাইচে দিল্লির ক্রিকেটারলা। কেনেনা দর্শকগিলা খলিলের ক্যাচ নাহয় আছিলেক ধোনির ব্যাটিং দেখিবার তানে।
তৃতীয়া বলত আরও চাইর। পরের ওভারত বল করিবার আসিলেক খলিল। তাহ সহজতে ছয় মারিলেক ধোনি, দেখিয়া মনে হইল পুরা ব্যাপারখান জলভাত। অফস্টাম্পের বাইরত বল আছিল। সামনত পা আগেয়া আনিয়া নিখুঁত সময়জ্ঞানত শট। বল একস্ট্রা কভারের উপুরা দিয়া গ্যালারিত। বিশাখাপত্তনম আস্তে আস্তে উত্তাল হবা শুরু করিছিল।
ছন্দটা কাটিল ১৯নম্বর ওভারত। পত্থম বলত রান নিয়া ধোনিক স্ট্রাইক দিসে রবীন্দ্র জাডেজা। পর পর তিনটা বল খেলালেক ধোনি। পত্যেক বার রান নেওয়ার পরিস্থিতি আছিল। কিন্তুক কোনও বারেও ধোনিক রান নিবার তানে উৎসাহী দেখায় নাই। উল্টা পাখায় জাডেজার নাখান প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যাটার যেইঠে আছে, যেইঠে আস্কিং রেট পত্তি মুহূর্তত বাড়িয়ায় চলেছে, সেঠেনা ধোনির এইটা সিদ্ধান্ত দলটাক হারায় দিল কি না, সেই প্রশ্ন উঠিবা পারে। দলের চেয়ে বড় হয় ধোনি নিজের তানে খেলালেন কি না, ওটা প্রশ্নও তুলা শুরু হইচে।
ধইন্যবাদ প্রাপ্য মুকেশেরও। ধোনিক পত্তিটা বল ওয়াইড ইয়র্কার দিলেক। একচল্লিশের ধোনির পক্ষে সামনত ঝুঁকিয়া কভার ড্রাইভ মারা বেশ কঠিন। চেষ্টা করিলেও সফল হয়নাই।